পুরো নাম ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা হলেও ‘মডেল পিয়াসা’ নামেই ব্যাপক পরিচিতি তার। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে তার খুব একটা নামডাক হয়নি। তবে বার বার নানা অপরাধে জড়িয়ে তিনি বেশ আলোচিত। এবার উচ্চবিত্তের সন্তানদের ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগে বিপুল মাদকসহ তিনি আটক হয়েছেন।রোববার রাত ১০টায় পিয়াসার বারিধারার বাসায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। রাত পৌনে ১২টার দিকে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।ডিবি পুলিশ বলছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বারিধারায় পিয়াসার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় তিনি বাড়িতেই ছিলেন। পরে বাড়ির প্রতিটা রুম তল্লাশি করে মদ, ইয়াবা ও সিসা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পিয়াসাকে আটক করা হয়। আটক হয়েছেন তার আরেক সহযোগীও।উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করায় সে বছরের ৮ মার্চ তাকে তালাক দেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত হোসেন। এ নিয়ে সামাজিক মহলে আলোচিত হন তিনি।তার সেই সাবেক পুত্রবধূ এই পিয়াসা। চাঁদা দাবির অভিযোগে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ পিয়াসার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দিলদার আহমেদ। তিনি অভিযোগ করেন, পিয়াসা দিলদারপুত্র সাফাতকে ফাঁদে ফেলে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন। পরে তারা জানতে পারেন যে, পিয়াসা মাদকাসক্ত এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনে অভ্যস্ত।২০১৭ সালের মে মাসে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত পিয়াসা। সেই ঘটনায় সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। প্রথমে মামলা করতে ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করেছিলেন পিয়াসা। কিন্তু পরে পিয়াসার বিরুদ্ধেই মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগে জিডি করেন ভুক্তভোগীদের একজন। সেই ঘটনার ৪ বছর পর ফের আলোচনায় মডেল পিয়াসা।


0 Comments