ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে চাই না: রুনা খান

 

অনেকের কাছেই নাটকের দুই কিশোর-কিশোরীর স্বপ্ন পূরণের গল্পটি ভালো লাগছে। আমিও এ নাটকে অভিনয় করে আনন্দ পেয়েছি এর গল্প এ সময়ের অন্যান্য নাটক থেকে একেবারে আলাদা হওয়ার কারণে।ঘর ছেড়ে এই মুহূর্তে বের হচ্ছি না। গত কয়েক মাস কোনো নাটকেরও শুটিং করিনি। এ জন্যই স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি 'আয়েশার সমুদ্রযাত্রা' আর চলতি ধারাবাহিক ছাড়া নতুন কোনো নাটক ও ছবিতে আমাকে দেখা যায়নি। সর্বশেষ মার্চ মাসে পঙ্কজ পালিতের 'না বলা গল্প'-এর শুটিং করেছি। এরপর হঠাৎ করেই করোনা বেড়ে গেল, যে জন্য আর শুটিং করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হোক, তারপর শুটিং নিয়ে ভাবব।
একটু যে খারাপ লাগে না, তা বলছি না। আসলে সময়ই আমাদের অনেক কিছু মানিয়ে নিতে শেখাচ্ছে। মেয়ের স্কুল বন্ধ, স্বামীর ব্যবসার কাজের তাড়া নেই। তাই ঘর ছেড়ে বের হওয়ার প্রয়োজনও পড়ছে না খুব একটা। আমার বেড়ে ওঠা সবুজে ঘেরা গ্রামে। প্রকৃতি বারবার আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। এ জন্যই ভাবি, মেয়ে বড় হলে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যাব। সেটাই কিছুদিন আগে পরিচিত সবাইকে জানিয়েছি। শুনে অনেকেই অবাক হয়েছেন।ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে যে কোনো মাধ্যমেই কাজ করব। কিন্তু অভিনয় পেশা হলেও ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করতে চাই না। গল্প যদি দর্শক-মনে ছাপ না ফেলে, চরিত্র যদি আলাদা পরিচিতি না দেয়- সে কাজ করার কোনো মানে নেই।  বছরে চার-পাঁচটি ভালো কাজ করার সুযোগ পেলেই আমি তৃপ্ত।মঞ্চে কাজ করার জন্য আমি সব সময় প্রস্তুত। কিন্তু নিজেও জানি না, আবার কবে মঞ্চে অভিনয় করতে পারব। করোনার এ সময়ে আসলে কোনো কিছুই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।

Post a Comment

0 Comments