এর মাধ্যমে আরো ৫ বছর ক্ষমতায় থাকছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এ রাষ্ট্রনেতা। ৪৩৬ আসনের মধ্যে ৪১০ আসনেই জয় পেয়েছে আবির প্রসপারিটি পার্টি।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, অনিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে দেশটির এক পঞ্চমাংশ মানুষ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। যুদ্ধ-সংঘাতে বিপর্যস্ত তাইগ্রে অঞ্চলে ভোট অনুষ্ঠিত হয়নি।ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে আলাদাভাবে নির্বাচন করার কথা থাকলেও তাইগ্রেতে নির্বাচনের কোনো তারিখ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।এদিকে, দেশটিতে আরো আগেই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে নির্বাচনের তারিখ পেছাতে হয়েছিল। নির্বাচনে আশানুরূপ ফল পাওয়ার পর এক টুইটবার্তায় নোবেল জয়ী আবি আহমেদ এই নির্বাচনকে ‘ঐতিহাসিক নির্বাচন’ বলে উল্লেখ করেছেন।তবে এরইমধ্যে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করেছে যে, তাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি অভিযানের কারণে তাদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে যে পরিকল্পনা ছিল তা ভেস্তে গেছে।এদিকে, রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত ইথিওপিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (ইএইচআরসি) জানিয়েছে, বিভিন্ন স্থানে পর্যবেক্ষণ করে তারা কোনও গুরুতর বা ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা দেখতে পাননি।২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই নির্বাচন ছিল আবি আহমেদের জন্য প্রথম নির্বাচনী পরীক্ষা।দেশের দুর্নীতি দমন, রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, মন্ত্রিসভায় আরো বেশি সংখ্যক নারীকে নিযুক্ত করা এবং প্রতিবেশী এরিত্রিয়ার সঙ্গে শান্তি স্থাপনের কারণে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন আবি আহমেদ। ১৯৯৮-২০০০ সাল পর্যন্ত এই প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সীমান্তে যুদ্ধ-সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।তিনি উত্তরাঞ্চলীয় তাইগ্রে অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করেন। ওই অঞ্চলে সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।


0 Comments