২০১১ সালে বিশ্ব ক্লাব কাপ ফাইনালে বার্সেলোনা ৪-০ গোলে হারিয়ে ছিল ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসকে। তখন বার্সার কোচ পেপ গার্দিওলা। দাপুটে জয়ের পর গার্দিওলা যেন প্রতিপক্ষকে উসকে দেওয়ার জন্যই সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তার বুড়ো দাদা যেভাবে বলে দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ানরা নাকি ঠিক সেভাবে খেলেছে। স্পেন তখন বার্সেলোনার মতো টিকিটাকা স্টাইলেবিশ্বকাপ, ইউরো জিতেছে তারা। এখনও তারা সেই কৌশলেই খেলছে। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল 'জোগো বোনিতো' বা সুন্দর ফুটবলের পূজারি। সাম্বার দেশ ফুটবলকে দেখে শিল্প হিসেবে। আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় অলিম্পিক ফাইনালে ফুটবলের দুটি দর্শনের লড়াই হবে।সময়ের প্রয়োজনে তারাও রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে। অনেক ব্রাজিলিয়ান কোচ তো কাউন্টার অ্যাটাকনির্ভর ফুটবল খেলছে।যে কোনো মূল্যে জেতাটাই হয়ে উঠেছে মূল কথা। এজন্য কুৎসিত ফুটবল খেলতেও রাজি দলগুলো। যা দেখার জন্য এখনও ফুটবলপ্রেমীরা উন্মুখ হয়ে থাকে। স্পেনের পজেশননির্ভর খেলায় কিন্তু অনেক ব্রাজিলিয়ান কিছুটা বিরক্ত। বার্সেলোনায় লিওনেল মেসির মতো একজন জাদুকর ছিলেন বলে এতটা বিরক্তি আসত না। বার অলিম্পিক ফাইনালে সেই স্পেনের মুখোমুখি ব্রাজিল। বল ধরে রেখে কৌণিক পাসিং দিয়ে ব্রাজিলের রক্ষণভাগ ভাঙার পরীক্ষায় কি পাস করবে স্পেন! বিষয়টি পুরোপুরিই নির্ভর করছে স্প্যানিশ আক্রমণভাগের তিন তারকা অলমো, আসেনসিও ও ওরিজাবালের ওপর। তবে প্রশ্ন হলো, ব্রাজিলের বিপক্ষে কি তারা এত বেশি বল ধরে রাখতে পারবে! ব্রাজিলের রক্ষণ এবারের অলিম্পিকের অন্যতম সেরা। পাঁচ ম্যাচে মাত্র তিন গোল হজম করেছে। ব্রাজিলের সফলতা নির্ভর করছে আক্রমণভাগের ওপর। তারা কি বল নিয়ে ছোটার মতো খালি জায়গা পাবে?তার সঙ্গে টুর্নামেন্টের টপ স্কোরার রিচার্লিসনের জুটিটা দারুণ জমে। এই দু'জনের ওপরই নির্ভর করছে ব্রাজিলের শিরোপা ধরে রাখার মিশন।


0 Comments