সৌম্যর বাজিমাত ওপেনিংয়ে

 

সুতোয় ঝুলছিল সৌম্যর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। নির্বাচকদের মাইনাস থিওরির বলি হয়ে টেস্টের পর ওয়ানডে সংস্করণ থেকেও বাদ পড়তে হয়েছে। কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম কেটে দেওয়া হয়েছে এ বছর। নির্বাচকদের কাঁচি চালানোর পরও টিকে রয়েছেন টি২০ সংস্করণে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি২০ সিরিজটি ছিল তার ক্যারিয়ার বাঁচানোর। ২৮ বছরের এ ক্রিকেটার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিয়ে অ্যাসিড টেস্টে ভালোভাবেই পাস করে গেলেন। হারারেতে পাওয়া ছন্দ ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলায় দেখাতে পারলে একদিনের ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাবানা তৈরি হতে পারে সৌম্যর।খারাপ সময় পেছনে ফেলতে হয় পেশাদারিত্ব দিয়ে। এর বড় উদাহরণ পেস বোলার তাসকিন আহমেদ। অনেকে তো টাইগার এ ফাস্ট বোলারের ক্যারিয়ারেরই শেষ দেখে ফেলেছিলেন। তাসকিন কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার তালিকায় নিজের নাম তুলতে দেননি। সৌম্য সে তুলনায় কিছুটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় থেকে লড়াইটা করতে পারছেন।তার এই লড়াইয়ে ভাগ্যের ছোঁয়াও ছিল। তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস চোটে না পড়লে ওপেনিংয়ে ব্যাট করার সুযোগ হতো না তার। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ, আফিফ হোসেনের পর ব্যাটিং অর্ডার দেওয়া হতো। তিনজন নিয়মিত ব্যাটসম্যানের না খেলা শাপেবর হয়েছে সৌম্যর। সুযোগটাকে ভালোমতো কাজেও লাগালেন তিনি। কপাল ভালো হলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের হোম সিরিজেও নাঈম শেখের জুটিতে রাখা হতে পারে তাকে। কারণ অসিদের বিপক্ষে খেলছেন না তামিম আর মুশফিক।প্রথম ম্যাচে ৫০ রান ও একটি উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং-ব্যাটিং কোনোটিই ক্লিক করেনি। গতকাল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দুই বিভাগেই ভালো করেন। নিয়মিত বোলাররা যখন পড়ে পড়ে মার খাচ্ছিলেন তখন নিজের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত করেন জিম্বাবুয়ে শিবিরে। রেজিস চাকাভার উইকেট নিয়ে সেট জুটি ভাঙেন প্রথম বলে।টি চার ও একটি ছয় দিয়ে সাজানো তার ইনিংস। টি২০-তে সৌম্যর আগের সেরা ছিল ৬২ রান।

Post a Comment

0 Comments