এবার খোলা জায়গায় হবে ঈদের জামাত।

 

করোনা মহামারির মধ্যে গত তিনটি ঈদ মসজিদে আদায়ের পর এবার ঈদগাহে ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নেওয়ার সুযোগ আসছে। আসন্ন ঈদুল আজহার জামাত মসজিদের পাশাপাশি ঈদগাহ বা খোলা জায়গায়ও আয়োজন করা যাবে। মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। মুসল্লিরা নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। তবে শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছেশর্তগুলো হলো- প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদ বা ঈদগাহে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার করতে হবে। মসজিদ বা ঈদগাহে অজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা এবং প্রবেশ দ্বারেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে। মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে।ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। আর ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। দেশে গত বছর ৮ মার্চ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর ওই বছরের দুই ঈদের জামাতই মসজিদে আদায় করতে হয়। এ বছর গত ১৪ মে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাতও হয়েছিল মসজিদেই। তিন ঈদ পর এবার ঈদগাহে জামাতে নামাজ আদায়ের সুযোগ পাচ্ছেন মুসল্লিরা।