ক্রিকেট মাঠে যে গতিতে বল করেন, সে গতিতে স্ত্রীর ‘মন ঘোরাতে’ পারছেন না পাকিস্তানের হাসান আলী। বিয়ের ২ বছর হয়ে গেলেও ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির ওপর থেকে স্ত্রীর নজর কিছুতেই নিজের দিকে ঘুরিয়ে আনতে পারছেন না তিনি।
পাকিস্তানি পেসারের স্ত্রীর প্রিয় ক্রিকেটার কি না বিরাট কোহলি! এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন হাসান-পত্নী। রিয়ানায় জন্ম হলেও গত ১৫ বছর ধরে সপরিবারে ফরিদাবাদে থাকে সামিয়ার পরিবার। ফরিদাবাদেই সামিয়ারা ৬ ভাইবোন একসঙ্গে বড় হয়েছেন।
স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর পর সামিয়া ফরিদাবাদের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াপ্রথম দেখাতেই সামিয়াকে ভাল লেগে গিয়েযদিও সীমান্তের দু’পাড়ের দুই পরিবার বিষয়টি কীভাবে নেবে তা নিয়ে দু’জনেই যথেষ্ট ধন্দ্বে ছিলেন।ছিল হাসানের। কিন্তু সামিয়া ক্রিকেট নিয়ে কোনোদিন কৌতূহলী ছিলেন না। তাই হাসানকেও তিনি চিনতেন না। সামিয়ার এই নিরীহ মন ছুঁয়ে গিয়েছিল হাসানকে। প্রথম দিন থেকেই তাদের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। ক্রমেই মিশুক এবং যত্নশীল হাসানকে ভাল লেগে যায় সামিয়ার।শোনা করেন। তারপর একটি বিমান সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে দুবাই চলে যান। সামিয়া কর্মসূত্রে দুবাইয়েই থাকতেন।হাসানকে নিয়ে যেমন সামিয়ার পরিবারের কোনো আপত্তি ছিল না, তেমনি সামিয়ার কথা জানা মাত্রই তাকে স্বাগত জানান হাসানের পরিবারও।২০১৯ সালের ২০ আগস্ট হাসান ও সামিয়ার বিয়ে হয়। বিয়েতে অনেক ভারতীয় ক্রিকেটারও আমন্ত্রিত ছিলেন। ওই বছরই একটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন হাসান। সে সময় ভারতের ক্রিকেট ভক্তরা তার কড়া সমালোচনা করেছিলেন।


0 Comments